Forum for Energy Reporters Bangladesh
Image default
Bangla News

লাইন টানা হয় নাই! কাটলো কেমনে?

তিতাসের কাছে প্রশ্ন

ফয়েজ আহমেদ তুষার:

‘আমাগো গেরামে তো গ্যাস লাইনই টানা অয় নাই! কাটলো কেমনে?’- অনেকটা অবাক সুরেই কথাগুলো বললেন ইমামপুর গ্রামের বাসিন্দা কবির নেকী। ইমামপুর গ্রামের গ্যাস লাইন কি কেটে দিয়েছে তিতাস? সংবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।

পেশায় কৃষক কবীর বলেন, ‘মেইন রোডের লগে অনেক গেরামে গ্যাস আছে। আমাগো গেরামে তো নেতা অনেকÑ উপজেলা চেয়ারম্যান (সাবেক)-ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ মেম্বার। তবে কেউ গ্যাস লাইন আনার পক্ষে না। সবাই কয়- বদনাম অইব। সরকারের বেলকা লিস্টে (ব্ল্যাক লিস্টে) নাম আইবো। তাই ইমামপুরে গ্যাস আইয়ে নাই।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির একটি অংশে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) উল্লেখ করে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর, বাঘাবন্দি (বাঘাইয়াকান্দি) ষোলআনি গ্রামের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

অভিযোগ উঠেছে, তিতাস গ্যাসের (টিজিটিডিসিএল) বিজ্ঞপ্তিতে এমন অনেক গ্রামের নাম এসেছে, যেখানে কোন সময় অবৈধ গ্যাসের লাইন নির্মাণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয় সংবাদের।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান (তোতা) সংবাদকে বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে অনেকে আমার গ্রাম ইমামপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ আনার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। তবে আমি অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ছিলাম। এরপরও গজারিয়ার কিছু এলাকায় অবৈধ সংযোগ নেয়ার ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় ও রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সব জায়গায় অবৈধ সংযোগ নেয়ার বিষয়টি বন্ধ রাখা যায়নি। তবে আমার গ্রামে আমি সংযোগ নিতে দেইনি।’

রেফায়েত উল্লাহ খান বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস কীভাবে একটি গ্রামকে অবৈধ সংযোগ নেয়ার তালিকাভুক্ত করে, যে গ্রামে কখনও অবৈধ গ্যাস সংযোগ যায়নি।’

পেশায় শিক্ষক বাঘাইয়াকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘বৈদ্যেরগাঁও থেকে একটি লাইন মাথাভাঙ্গা, রসুলপুর হয়ে দৌলতপুর পর্যন্ত এসেছিল। তবে বৈদ্যেরগাঁওয়ের পরের গ্রামগুলোতে রান্নার সময় গ্যাস পাওয়া যায় না, এমন অভিযোগে স্থানীয়দের বিবাদ চলছিল। বেশ কয়েক বছর আগে অভিযানে মাথাভাঙ্গা এলাকা থেকে ওই লাইন কেটে দেয়া হয়। তখন থেকে রসুলপুর ও দৌলতপুরের লাইন অচল।’

সাইফুল বলেন, ‘বাঘাইয়াকান্দি তো দৌলতপুর থেকে অনেক দূর। প্রথমে ষোলআনী। ষোলআনীতে লাইন আসেনি। আগে ষোলআনী গ্যাস পেলে, পরে আমাদের গ্রামে আসতো।’

উপজেলা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মুকুল খান সংবাদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেক আগে বৈদ্যেরগাঁও থেকে মাথাভাঙ্গা, রসুলপুর আর দৌলতপুরে গ্যাস লাইন টানা হয়েছিল। সেটা বন্ধ, তিন-চার বছর ধরে। তবে ইমামপুর, ষোলআনী, বাঘাইয়াকান্দি গ্রামে গ্যাসের কোন লাইনই যায়নি। মুকুল খান বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তিতাস গ্যাসের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২২ মে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন ভাটেরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর ফলে বৈদ্যেরগাঁও, মাথাভাঙ্গা, রসুলপুর, ইমামপুর, বাঘাবন্দি, ষোলআনী প্রভৃতি গ্রাম/ইউনিয়নের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে অবৈধ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছিল। এই লাইন কাটার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১২ হাজার অবৈধ সংযোগ বন্ধ হয়েছে। যার মধ্যে আবাসিকের পাশাপাশি ছোট ছোট বাণিজ্যিক সংযোগও ছিল।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলছে, ২২ মে অভিযানে ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা থেকে মেইন লাইন বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদের ফলে ভাটেরচর, মিরেরগাঁও, মিরপুর, টেঙ্গার চর আংশিক (ভিডারচর), উত্তর শাহপুর, বৈদ্যেরগাঁও গ্রামে নির্মাণ করা অন্তত ১০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন বন্ধ হয়ে এবং প্রায় দুই হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভাটেরচর-বৈদ্যারগাঁওয়ের লাইন কাটা হলেও স্থানীয় হোসেন্দী বাজারের পর থেকে তিন বছর আগে টানা অবৈধ গ্যাস লাইন এখনও চলছে। ওই লাইনটি সম্প্রতি আরও বর্ধিত হয়ে নাজিরচর হয়ে ফুলদি পর্যন্ত গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে তিন-চার হাজারের মতো অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মেঘনা সেতুসংলগ্ন জামালদী বাসস্ট্যান্ডের পাশে বড় ভাটেরচর বেইলি ব্রিজ দিয়ে যাওয়া অবৈধ লাইনে ওপারের গ্রামেও অবৈধ গ্যাস চলছে।

যেসব গ্রামে লাইন টানা হয়নি, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেগুলোর নাম আসা প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ কোন জবাব না দিলেও বিদ্যামান অবৈধ সংযোগের সংবাদকে বলেন, আমাদের অভিযান চলবে। শীঘ্রই অন্যান্য অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হবে।

Related Posts

দ্বীপ পাহাড় চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ যাচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায়

FERB

অনসোর পিএসসির খসড়া প্রস্তুত, যাচ্ছে মন্ত্রণালয়!

FERB

মহেশখালীর দরপত্র জানুয়ারিতে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে পায়রার ভাসমান এনএলজি টার্মিনাল 42 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttoncopy sharing buttonprint sharing button অ- অ+ মহেশখালীর দরপত্র জানুয়ারিতে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে পায়রার X মহেশখালীর দরপত্র জানুয়ারিতে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে পায়রার বরিশালের পায়রা বন্দরের কাছে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আপাতত হচ্ছে না। এখানে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে কি না, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত হবে। এর আগে আগামী বছরের জানুয়ারিতে কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দেশের গ্যাস চাহিদা মেটাতে দিন দিন এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। কিন্তু বাড়েনি রিগ্যাসিফিকেশন করার ক্ষমতা। রিগ্যাসিফিকেশনের ক্ষমতা বাড়াতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আরও নতুন দুটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে দেশি-বিদেশি দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি দুটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিশেষ আইনের অধীনে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন স্থগিত করে। পাশাপাশি এই আইনের অধীনে হওয়া ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের চুক্তি দুটি বাতিল করে। আওয়ামী লীগ সরকার মহেশখালীতে তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। আর চতুর্থ পায়রা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে টার্ম-শিট চুক্তি করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে দরপত্র তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি আমরা। আগামী বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হবে। আর চতুর্থ ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণের আগে প্রাক-সমীক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, পায়রা এলাকায় প্রস্তাবিত চতুর্থ টার্মিনালের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করতে খরচের বিষয় রয়েছে, আবার নাব্য ইস্যুও রয়েছে। ভাসমান টার্মিনালটি নির্মাণের পর অর্থনৈতিকভাবে সফল হবে কি না, তা নিয়ে আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেই টার্মিনালটি করা হবে। বর্তমানে দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল চালু রয়েছে। একটি পরিচালনা করছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। এক্সিলারেট এনার্জি মহেশখালী টার্মিনাল থেকে বর্তমানে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। পেট্রোবাংলার সঙ্গে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অন্যটি এক্সিলারেট থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছে সামিট গ্রুপ। সামিটের টার্মিনালের সক্ষমতা ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সামিটের সঙ্গে টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি হয়। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, কোনোরকম দরপত্র ছাড়া বিশেষ আইনের আওতায় চলতি বছরে ৩০ মার্চ সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল খসড়া চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী, টার্মিনাল চালুর পর থেকে ১৫ বছর মেয়াদে দৈনিক ৩ লাখ ডলার (চুক্তিতে উল্লিখিত বিনিময় হার অনুযায়ী ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ) রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পাওয়ার কথা ছিল সামিট গ্রুপের। টার্মিনালটির ১৫ বছর মেয়াদে রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ বাবদ সামিট গ্রুপকে দিতে হতো প্রায় ১৭ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা (ডলার ১১০ টাকা হারে), যা গত অক্টোবরে বাতিল করে দিয়েছে পেট্রোবাংলা। যদিও সামিট গ্রুপ এ বিষয়ে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১ টাকা দরে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি থেকে ১ টাকা ২৫ পয়সা দরে, বাপেক্স থেকে ৪ টাকা দরে গ্যাস কেনে সরকার। বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ও তাল্লোর কাছ থেকে কেনা গ্যাসের সংমিশ্রণে গড় দর দাঁড়ায় ঘনমিটারে ৬ টাকা ৭ পয়সা। দেশীয় এসব উৎস থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক কমবেশি ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এলএনজি আমদানি থেকে ৯০০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। এক-তৃতীয়াংশের কম আমদানিতেই গড় দর ৬ টাকা ৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২৪ টাকা ৩৮ পয়সা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্পট মার্কেট থেকে আনা এলএনজির দাম পড়েছিল ৬৫ টাকা, যা আগস্টে (২০২৪) ৭১ টাকায় কিনতে হয়েছে। এক-তৃতীয়াংশ আমদানি করতে ত্রাহি অবস্থা, সেই সময়ে দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর মজুত ফুরিয়ে আসছে। এতে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে উৎপাদন। এক সময় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। ১৭ নভেম্বর ১ হাজার ৯৫২ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন হয়েছে। ১০ দিন আগেও যা ছিল ১ হাজার ৯৭২ মিলিয়নে। পেট্রোবাংলার প্রাক্কলন বলছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। ত্বরিত ঘাটতি মোকাবিলায় বিকল্প কম থাকলেও এলএনজি আমদানিকে বিপজ্জনক বিকল্প মনে করেন অনেকেই। দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কয়েক দশকের স্থবিরতার জন্যই আজকের করুণ পরিণতি মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

FERB