Forum for Energy Reporters Bangladesh
Image default
English News

গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এলএনজির খরচ উঠাতে চায় পেট্রোবাংলা

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:

আগ্রামী এপিল থেকে নতুন এলএনজি আসার পর বছরে সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি ধরে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তা মেটানোর প্রস্তাব করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা।

সোমবার গ্যাসের মূল্য সমন্বয় নিয়ে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানির প্রথম দিন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন এই প্রস্তাব জানান।

তবে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম।

আগামী এপ্রিল থেকে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি কার্যক্রম শুরু করবে জানিয়ে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তখন দৈনিক এলএনজি আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এখন যা ৪৭০ থেকে ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট রয়েছে। এলএনজি আমদানির পরিমাণ দ্বিগুণ হলে মাসে ২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ঘাটতি হবে। বছরে সেই ঘাটতির পরিমাণ হবে ২৪ হাজার ৫৪০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

রুহুল আমিন বলেন, “দেশের নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের জন্য এলএনজি আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে। সঙ্গত কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।”
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতি ঘনফুট এলএনজি আমদানির জন্য ৩৯ দশমিক ০৮৬ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৭ দশমিক ১৭ টাকা দরে বিক্রি করছে। এরসঙ্গে এলএনজি চার্জ ৯ দশমিক ৫৫ টাকা হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা।

শুনানির শুরুতে বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ২০১৮ এর অক্টোবরে গ্যাসের দাম সমন্বয়ের সময় সামিট এলএনজির ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়নি। আগামী এপ্রিল থেকে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ফলে গ্যাসের মুল্য সমন্বয় প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য না, যৌক্তিক না। ভবিষ্যতে কী হবে, তা বিবেচনায় নিয়ে গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

“এপ্রিলে উচ্চমূল্যের আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আসবে তার ভিত্তিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসির আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। ভোক্তার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দেওয়ার আগে কোনোভাবেই দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।”

এদিকে পেট্রোবাংলার উপস্থাপনার পর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল) প্রস্তাব নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি।

ওই শুনানিতে জিটিসিএল ২০১৮-১৯ এর জন্য ০.৫৬৬৫ এবং ২০১৯-২০ এর জন্য ০.৫৬৭৬ টাকা সঞ্চালন চার্জ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। কমিশন০১৮-১৯ এর জন্য দশমিক ৪৬৩৬ টাকা এবং ২০১৯-২০ এর জন্য দশমিক ৪৯৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। এখন জিটিসিএল এর সঞ্চালন চার্জ রয়েছে দশমিক ৪২৩৫ টাকা।

Related Posts

Covid-19: What it means for Bangladesh’s power sector in 2020

FERB

Refiners to reopen petrochemical plants

FERB

Capacity payment ballooning with LNG-fired plants also claiming

FERB