Forum for Energy Reporters Bangladesh
Image default
English News

দেশের কয়লা না তুললে সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়া যাবে না: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২রা মার্চ (এনার্জি বাংলা):

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের কয়লা না তুলে আমদানির উপর নির্ভর করলে জ্বালানির দাম সাশ্রয় হবে না।
শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, এফইআরবি আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে মিট দ্য প্রেস হয়।
এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার ও নির্বাহী পরিচালক সদরুল হাসানসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদকরা মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এফইআরবির ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।মিট দ্য প্রেসের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কষ্ঠশিল্পী পরশীসহ অন্যরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কয়লার চেয়ে আমদানির খরচ বেশি হবে। দেশের কয়লা তুলতে হবে তবে তা পরিবেশরে ক্ষতি করে নয়। আর্থ-সামাজিক সবকিছু পর্যালোচনা করেই এই কয়লা তোলা হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দ্রুত আমাদের উত্তরবঙ্গের কয়লাখনির বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। নিজস্ব কয়লা রেখে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি আমাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে।
সেটা অবশ্যই পরিবেশের কথা চিন্তা করে নেওয়া উচিত। কীভাবে সব কিছু সমন্বয় করে একটা ভালো সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজেদের কয়লা ব্যবহার করতে পারব আমরা সেদিকেই যাচ্ছি ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ব্যবহার ও শিল্প কারখানায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। দাম বাড়বে কি বাড়বে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বিইআরসি।
এলএনজি আমদানির পর গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা ছিল।
গত বছর গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানির পর ‘সার্বিক বিবেচনায়’ মূল্য না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে ভোট শেষে নতুন সরকার গঠনের পরই ফেব্রূুয়ারিতে বিইআরসিতে গ্যাসের মূল্যহার বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো। যে প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, যেসব ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে সেগুলো বন্ধ করে গ্যাসে চালালে খরচ কম পড়বে। সেখানে আমরা দেখেছি গ্যাস যদি দিতে পারি তাহলে দামের সমন্বয় হয়ে যাবে। তবে এখন এটা সম্পূর্ণ বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে। বিইআরসি যদি গণশুনানি করে, সবার সঙ্গে বসে তারা যদি সিদ্ধান্ত দেন যে, তারা মূল্য সমন্বয়ে যাবেন তাহলে সমন্বয় হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসার পর ২০২৩ সালের দিকে বেশ কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হবে। তখন সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে।

Related Posts

Highway model filling stations on card

FERB

Titas moves to overhaul ageing accident-prone pipelines in Dhaka city

FERB

Tongi Power Plant…A white elephant that PDB won’t let die

FERB